
প্রকাশিত: Sat, Jun 8, 2024 2:59 PM আপডেট: Tue, Apr 29, 2025 11:50 PM
শিল্পী আলী হাসানকে উৎসর্গ করে
মোজাফ্ফর হোসেন
আজান শেষ হওয়া মাত্র মসজিদের গেইটে এসে দাঁড়ায় টুকু বঙ্গর আট বছর বয়সী ছেলেটা রোজ, প্রতি ওয়াক্তে। শেখ রহিম হাফেজ জামাত শুরু হওয়ার আগ দিয়ে চলে আসবেন। টুকুর হাতে দামি হাতঘড়ি, মোবাইল সেট ও পকেটের টাকাগুলো রেখে নামাজে দাঁড়াবেন। টুকু মসজিদের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করবে। নামাজ শেষ হলে টুকুর হাত থেকে সব বুঝে নিয়ে পাঁচ-টাকা গুজে দিয়ে হাঁটা দেবেন মবুর আমবাগানের দিকে। ওপাশে ওর কারবার। বর্ডার থেকে যত ফেনসিডিল আসে, সব বাগানের আড়াল থেকে আশেপাশের শহরে চালানের বন্দোবস্ত হয়। আমবাগানের বাইরে লোকসমাজে শেখ রহিম হাফেজ ঘুরে বেড়ান অন্য পরিচয়ে। মসজিদ কমিটির সভাপতি তো ছিলেনই, সম্প্রতি স্কুল কমিটিরও সভাপতি হয়েছেন নিজে টিপসই করা লোক হলে কি হবে, গাঁয়ে গণ্যমান্য লোক সে। মাস দশেক আগে দুলক্ষ টাকা আড়াল করে স্কুলে একজন শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন। বড্ড খায়েশ ছিল গাঁয়ের হয়ে প্রথম হজটা তিনিই করবেন।
করলেনও। তবে অবৈধ আয়ে নয়, হালাল আয়ে, সহীভাবে, পৈতৃকসূত্রে পাওয়া একখণ্ড জমি বিক্রি করে। হজ থেকে ফিরেই স্কুলে নিয়োগের ব্যবস্থাটা করলেন। বিক্রি করা জমিটুকু ফের কিনে নিলেন নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে। জমি জমি করে শেখ রহিম হাজীকে নাজেহাল করে দিচ্ছিল বউটা। হজ থেকে এসে আর নামাজটা ছাড়েননি। কারবারের টাকা পকেটে রেখে নামাজ হবে না বলেই গেটে টুকুকে ঠিক করেছেন ওর বাবাকে বলে। টুকুর জন্য এটা চাকরিই বলা চলে। বয়স হিসেবে আয় মন্দ না। মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসাতেই থাকে টুকু।
শেখ রহিম হাফেজ চলে গেলে নিজে জামাত মিস করা মুসল্লিদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে অথবা একা একা নিজের নামাজটা আদায় করে নিতে ভোলে না সে। আজ যখন শেখ রহিম হাফেজ ওর হাতে পাঁচ টাকার একটা কয়েন তুলে দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন তখন ওর কি যেন মনে হলো। আচ্ছা দাদা, আমি যে এই টাকা নি মসজিদের ভেতর গি নামাজ পড়ি। আমার নামাজ হয় তো? শেখ রহিম হাফেজকে প্রশ্ন করে ছোট্ট টুকু। হবে না মানে? মসজিদটা কার টাকায় তোলা। বলেই শেখ রহিম হাফেজ হাজী হাসতে হাসতে পা বাড়ান মবুর আমবাগানের দিকে। অণুগল্প: হারাম হালাল। লেখক: কথাসাহিত্যিক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
